Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কি সেবা কিভাবে পাবেন.

বয়স্ক ভাতা

১। ভাতাপ্রত্যাশী ব্যক্তি কর্তৃক অনলাইনে ভাতার আবেদন দাখিল

২। আবেদন যাচাই-বাছাই

৩। ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক  প্রস্তাবনা প্রেরণ

৪। উপজেলা কমিটি কর্তৃক পুনরায় যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন

৫। নগদ হিসাব খোলা ও এমআইএস ব্যবস্থাপনায় তথ্য হালনাগাদ করণ

৬। পেরোল প্রেরণ 

৭। মোবাইলে ভাতার অর্থ প্রেরণ ও ভাতাভোগী কর্তৃক অর্থ উত্তোলন


বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা

১। ভাতাপ্রত্যাশী ব্যক্তি কর্তৃক অনলাইনে ভাতার আবেদন দাখিল

২। আবেদন যাচাই-বাছাই

৩। ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক  প্রস্তাবনা প্রেরণ

৪। উপজেলা কমিটি কর্তৃক পুনরায় যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন

৫। নগদ হিসাব খোলা ও এমআইএস ব্যবস্থাপনায় তথ্য হালনাগাদ করণ

৬। পেরোল প্রেরণ 

৭। মোবাইলে ভাতার অর্থ প্রেরণ ও ভাতাভোগী কর্তৃক অর্থ উত্তোলন


প্রতিবন্ধী ভাতা

১। সুবর্ণ নাগরিকের পরিচয়পত্র গ্রহন ও  ভাতাপ্রত্যাশী ব্যক্তি কর্তৃক অনলাইনে ভাতার আবেদন দাখিল

২। আবেদন যাচাই-বাছাই

৩। ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক  প্রস্তাবনা প্রেরণ

৪। উপজেলা কমিটি কর্তৃক পুনরায় যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন

৫। নগদ হিসাব খোলা ও এমআইএস ব্যবস্থাপনায় তথ্য হালনাগাদ করণ

৬। পেরোল প্রেরণ 

৭। মোবাইলে ভাতার অর্থ প্রেরণ ও ভাতাভোগী কর্তৃক অর্থ উত্তোলন


প্রতিবন্ধী শিক্ষাবৃত্তি

১। সুবর্ণ নাগরিকের পরিচয়পত্র গ্রহন ও  ভাতাপ্রত্যাশী ব্যক্তি কর্তৃক অনলাইনে ভাতার আবেদন দাখিল

২। আবেদন যাচাই-বাছাই

৩। ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক  প্রস্তাবনা প্রেরণ

৪। উপজেলা কমিটি কর্তৃক পুনরায় যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন

৫। নগদ হিসাব খোলা ও এমআইএস ব্যবস্থাপনায় তথ্য হালনাগাদ করণ

৬। পেরোল প্রেরণ 

৭। মোবাইলে ভাতার অর্থ প্রেরণ ও ভাতাভোগী কর্তৃক অর্থ উত্তোলন


বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি

বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলা/শহর  সমাজসেবা অফিসার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন অত:পর নির্ধারিত ফরমে আগ্রহী ব্যক্তিদের সমাজসেবা অফিসার বরাবর আবেদন করতে হয় । প্রাপ্ত আবেদন ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে প্রস্তাব আকারে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করে। অত:পর উপজেলা কমিটি  যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ অনুসারে উপকারভোগী নির্বাচন করে। নির্বাচিত ব্যক্তির নামে এমআইএসে ডাটা এন্ট্রি, ব্যাংক হিসাব খোলা, যাচাইকরণ এবং মাঠপর্যায়ের অফিস হতে পেরোল প্রেরণ করা হয়। প্রেরিত পেরোল অনুমোদনসাপেক্ষে আইবাস++ এর মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে উপকারভোগীর মোবাইল/ব্যাংক হিসাবে ভাতার অর্থ প্রেরিত হয়।  এছাড়াও  জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১৮ বছর বয়সের উর্ধ্ব কর্মক্ষম ব্যক্তিদেরকে ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় । প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণোত্তর অফেরতযোগ্য ১০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি

হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম পরিচালিত হবে:

১.  হিজড়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদান;

২. ৫০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের দুঃস্থ ও অসচ্ছল হিজড়া ব্যক্তিকে মাসিক ৬০০ টাকা হারে বিশেষ ভাতা প্রদান।

৩. হিজড়া শিক্ষার্থীদের মাসিক হারে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১০০০ টাকা  এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা হারে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান;

৪. কর্মক্ষম হিজড়া ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আর্থিক অনুদান প্রদান ও আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিতকরণ;

৫. প্রশিক্ষণোত্তর এককালীন নগদ সহায়তা হিসেবে ১০,০০০ টাকা প্রদান।

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি

অনগ্রসর সম্প্রদায় বা শ্রেণী যারা সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। চরম অবহেলিত, বিছিন্ন, উপেক্ষিত জনগোষ্ঠী হিসেবে এরা পরিচিত। অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে জেলে, সন্যাসী, ঋষি, বেহারা, নাপিত, ধোপা, হাজাম, নিকারী, পাটনী, কাওড়া, তেলী, পাটিকর, সুইপার, মেথর বা ধাঙ্গর,   ডোমার, ডোম,  রাউত, ও নিম্নশ্রেণীর পেশার জনগোষ্ঠী। 

  1. ৫০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অক্ষম ও অসচ্ছল ব্যক্তিকে ভাতা প্রদান;
  2. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত লক্ষ্যভুক্ত শিক্ষার্থীদের মাসিক হারে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১০০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান:
  3. ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান।


পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক  নির্বাচিত গ্রামে ইউনিয়ন সমাজকর্মী/কারিগরি প্রশিক্ষক কর্তৃক পরিবার জরিপ সম্পন্নকরণপূর্বক  ক ও খ  গ্রুপভুক্ত পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে কর্মদল গঠন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রত্যেক দলীয় সদস্যকে ২০ টি সামাজিক কার্যক্রম অবহিতপূর্বক অভ্যস্ত করানো হয়। অতঃপর গ্রাম কমিটি বা কর্মদল হতে প্রস্তাবিত ঋণ প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইপূর্বক আবেদনপত্রসহ খসড়া তালিকা সংশ্লিষ্ট সমাজকর্মী/কারিগরি প্রশিক্ষক দাখিল করেন এবং আদায়কৃত সঞ্চয় প্রকল্প গ্রাম বা কর্মদলের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। প্রস্ত্ততকৃত খসড়া তালিকা, আবেদনপত্র, স্কিম ফিল্ডসুপারভাইজার ও সহকারী সমাজসেবা অফিসার কর্তৃক পরীক্ষান্তে সুপারিশসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট দাখিল করেন। অতঃপর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ইউপিআইসির সভার আয়োজন করে ঋণ অনুমোদন করেন। অবশেষে নির্বাচিত ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে ঋণের চেক/নগদ টাকা বিতরণের স্থান, তারিখ নির্ধারণ করে তাদের অবহিতপূর্বক ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।  


পল্লী মাতৃকেন্দ্র (আরএমসি)

  • গ্রাম নির্বাচন;
  • গ্রাম জরিপ;
  • লক্ষ্যভুক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সংগঠিত করে দলগঠন;
  • গ্রাম/মহল্লা কমিটি গঠন;
  • সাক্ষর জ্ঞান প্রদান;
  • বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ;
  • (পরিবার পরিকল্পনা, বাড়ীর আঙ্গিনায় সব্জিচাষ, সামাজিক বনায়ন, নিরাপদ পানি পান, স্যানিটেশন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পুষ্টি সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভবতী মায়ের যত্ন, শিশুদের টিকা দান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন ও যৌতুক বিরোধী সচেতনতা, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, শিশুদের স্কুলে প্রেরণ ইত্যাদি)
  • বৃত্তিমূলক ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান;
  • ক্ষুদ্রঋণ প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্রে আবেদনপত্র গ্রহণ;
  • আর্থ সামজিক উন্নয়নে উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন;
  • চুক্তি সম্পাদন;
  • সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান;
  • নিজস্ব পুঁজিসহ সংগঠন তৈরীতে সহযোগিতা।

দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম

মাঠপর্যায়ে পরিবার জরিপের মাধ্যমে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসরত (যে পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকার উর্ধে নয়) দগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের চিহ্নিত করা হয়। অতঃপর নির্ধারিত স্কীমের বিপরীতে জন প্রতি  ৫,০০০/- টাকা হতে ৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়। ঋণ প্রদানের ২ মাস পর হতে ৫% সার্ভিস চার্জসহ সমান ২০ কিস্তিতে ঋণের টাকা আদায় করা হয়। কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতীয় পর্যায়ে ১৯ সদস্যের ‘জাতীয় পরিচালনা (স্টিয়ারিং) কমিটি’, জেলা পর্যায়ে ১৩ সদস্যের ‘জেলা পরিচালনা (স্টিয়ারিং) কমিটি’ উপজেলা পর্যায়ে ১১ সদস্যের ‘উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি’ এবং শহর ও মহানগর এলাকার জন্য শহর সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য গঠিত ‘ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটি’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে।


স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ

  • নামের ছাড়পত্র গ্রহণ;
  • নির্ধারিত ফমর-বি তে আবেদন পত্র প্রদান (যা সংশি­ষ্ট জেলা হতে সংগ্রহ করা যাবে);
  • আবেদনপত্রের সাথে ১-২৯৩১-০০০০- ১৮৩৬ খাতে ৫০০০/- টাকার ট্রেজারী চালান ও ৭৫০/- মূল্য সংযোজনে কর চালানের কপি সংযুক্তি;
  • আবেদন পত্রের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দেয়া:
  • সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি-প্রতিটি ২ কপি;
  • প্রাথমিক সাধারণ সভায় নাম নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যবিবরণীর সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • বাংলায় সংস্থার গঠণতন্ত্র (প্রতি পৃষ্ঠায় সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত)- ৫ কপি;
  • গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সংক্রান্ত সভার কার্যবিররণীর সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ গঠন সংক্রান্ত সভায় উপস্থিত সদস্যদের স্বাক্ষর যুক্ত নামের তালিকার সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • বর্ণিত কার্যবিবরনীসমূহের কার্যবিবরণী খাতায় লিপিবদ্ধ করে সকল সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত কার্যবিবরণীর সত্যায়িত ফটোকপি-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নাম, পদবী, পেশা, ঠিকানা (বর্তমান) ও নিজ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ সদস্য তালিকার সাথে সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধক্ষের সত্যায়িত ছবি- প্রতি জনের ১ কপি;
  • সাধারণ সদস্যদের নাম, পিতা, মাতা, স্বামীর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) নাম, পেশা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং নিজ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা-১ কপি
  • একই পরিবার/পরষ্পর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়নি মর্মে  প্রত্যয়ন পত্র-১ কপি।
  • বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচী (কার্যক্রম বাস্তবায়ন পদ্ধতিসহ) প্রতিটি ১ কপি;
  • সংস্থার নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণ ( ব্যাংক ম্যানেজার কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র) ১ কপি;
  • সংস্থার কার্যালয়ের নিজস্ব জমির দলিল/৩০০/- (তিনশত) টাকার ষ্টাম্পে অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি-১ কপি;
  • সংস্থার আসবাবপত্রের বিবরণী -১ কপি;
  • সংস্থার সাধারণ সভায় অনুমোদিত সম্ভাব্য বাজেট (আয়-ব্যয়ের)-১ কপি;
  • স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর সুপারিশ পত্র-১ কপি;
  • সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সংস্থার সদস্যদের স্বাক্ষর সঠিক মর্মে অঙ্গিকার নামা-১ কপি;
  • সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সমাজসেবা অধিদফতর ছাড়া কোন সংস্থার নিবন্ধন গ্রহণ করলে বা কোন বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করার সাথে সাথে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে মর্মে অঙ্গিকার নামা-১ কপি।

 

ক্যাপিটেশন গ্রান্ট

বেসরকারি এতিমখানাটিকে সমাজসেবা অধিদফতরের নিবন্ধিত হতে হবে এবং এতিমখানাটিতে ন্যূনতম ১০ জন ৬-১৮ বছরের এতিম নিবাসী থাকতে হবে। ১০০% নিবাসী প্রাথমিক / মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত সাপেক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ শিশু এ সেবার আওতায় আসবে।

 

নির্ধারিত ফরমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সচিব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর ৩১ জুলাই এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কার্যালয়ে আবেদন দাখিল করতে হয় । ১০ আগষ্টের এর মধ্যে উপজেলা অফিস হতে জেলায় এবং ২৫ আগস্ট এর মধ্যে জেলা কার্যালয়  হতে অধিদফতরে বেসরকারি এতিমখানার তথ্য প্রেরণ নিশ্চিত করতে হয়। অতঃপর অধিদফতর হতে ১৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হয় । সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই পূর্বক মনোনিত বেসরকারি এতিমখানার বিপরীতে বরাদ্দপত্র অধিদফতর বরাবর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রেরণ করা হয়। অধিদফতর কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দপত্র প্রেরণ করা হয়। প্রাপ্ত বরাদ্দের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অফিসারের নিকট বিল দাখিল করলে যাচাই বাছাইপূর্বক উক্ত বিল পাশ করে তা উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার কর্তৃত বিল পাশ করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের দাপ্তরিক হিসেবে জমা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সংশ্লিষ্ট এতিমখানার সভাপতি/ সম্পাদকের অনুকূলে ক্রস চেকের মাধ্যমে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট হস্তান্তর করেন।

ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি

১. ক্যান্সার, কিডনি  এবং লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়িত হতে হবে;

২. সংশ্লিষ্ট রোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ও টেস্ট রিপোর্ট থাকতে হবে;

যেমন-ক্যান্সারের ক্ষেত্রে Biopsy বা অন্যান্য টেস্ট রিপোর্ট  থাকতে হবে এবং কিডনি  রোগের ক্ষেত্রে; Acute Renal Failure অথবা Chronic  Renal Failure এ আক্রান্ত ডায়ালাইসিস সেবা নিচ্ছে এমন রোগীদেরকে বিবেচনা করতে হবে। তবে;যে সকল এলাকায় ডায়ালাইসিস সেবা নেয়ার সুযোগ নেই, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক রোগের স্বপক্ষে প্রত্যয়ন গ্রহণ সাপেক্ষে এ সাহায্য প্রদান করা যাবে।

৩. জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম সনদ (১ম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি) থাকতে হবে;

৪. বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।


ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান

প্রাচীন কাল থেকেই মানব সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি চলে আসছে। উপমহাদেশেও এর ইতিহাস দীর্ঘ দিনের। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের শোষন, বঞ্চনা এবং নদী ভাঙ্গন, দারিদ্র্য, রোগ-ব্যাধি, অশিক্ষা ইত্যাদি কারণে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। বর্তমান সময়ে কিছু মানুষের কর্ম বিমুখতা এবং একদল স্বার্থান্বেষী মহলের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ভিক্ষাবৃত্তি  একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি স্বীকৃত কোন পেশা নয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ ঘটেছে। ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জা থেকে দেশকে মুক্ত করার সময় এসেছে।

দেশে দারিদ্র্য নিরসনে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং ভিক্ষাবৃত্তির মত অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’’ শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আগস্ট/২০১০ খ্রিঃ হতে কর্মসূচি’র কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সাল হতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হলেও তা তেমন ব্যাপকতা পায়নি। বর্তমান জনবান্ধব সরকার ভিক্ষাবৃত্তির মত সামাজিক ব্যধিকে চিরতরে নির্মূলের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। বিষয়টি বিবেচনায় এনেই ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে প্রথম বারের মত দেশের ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের নিমিত্তে অর্থ প্রেরণ করা হয়।