উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয ভালুকা, ময়মনসিংহ ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করে। অত্র উপজেলার পিছিয়েপরা এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কল্যাণ, উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ভালুকা। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ভালুকা বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ভালুকা একইসাথে উপজেলা ব্যাপী গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় এলাকায় সমাজের পিছিয়েপরা, অনগ্রসর অংশ, বেকার, ভূমিহীন, অনাথ, দুঃস্থ, ভবঘুরে, নিরাশ্রয়, সামাজিক, বুদ্ধিমত্তা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, দরিদ্র, অসহায় রোগী, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে বহুমাত্রিক এবং নিবিড় কার্যক্রমও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ভালুকা অন্যান্য সরকারী দপ্তর ও সংস্থাসমূহের সাথে সমন্বয় করে এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। কার্যক্রমসমূহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), ভিশন ২০২১ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বর্ণিত লক্ষমাত্রাসমূহ অর্জণের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদফতর সরকারের অন্যান্য জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালে দেশে সমাজকল্যাণ কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৬১ সালে সমাজসেবা পরিদফতরের সৃষ্টি হয়। ষাটের দশকের সৃষ্টিকৃত পরিদফতরটিই আজ সমাজসেবা অধিদফতরে উন্নীত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যাসহ নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা নিরসনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে Urban Community Development Board, Dhaka-এর আওতায় ১৯৫৫ সালে শহর সমাজসেবা কার্যালয় এবং সমাজকল্যাণ পরিষদের আওতায় হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৩ সালের বঙ্গীয় ভবঘুরে আইন, ১৯৪৪ সালের এতিম ও বিধবা সদন আইনের আওতায় পরিচালিত ভবঘুরে কেন্দ্র (সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র), রাষ্ট্রীয় এতিমখানা (সরকারি শিশু পরিবার) পরিচালনার দায়িত্ব ১৯৬১ সালে গ্রহণ করে সৃষ্টি হয় সমাজকল্যাণ পরিদফতর। পরবর্তীতে সমাজসেবা কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ও বিস্তৃত্তির কারণে ১৯৭৮ সালে সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠণমূলক বিভাগ হিসেবে উন্নীত হয়ে ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা অধিদফতর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
সমাজ দর্শন এবং উন্নয়ন কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিশাল কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত সমাজকর্মীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে সমাজসেবা ভবন উদ্বোধনলগ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণা করেন। ৪ জুন ২০১২ তারিখের মন্ত্রিসভা বৈঠকে জানুয়ারি মাসের ২ তারিখকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণাপূর্বক দিবসটিকে ‘খ’ ক্যাটাগরি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। ইনথি বাস্তবায়ন,এমআইএস,ডিআইএস, তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ ডিরেক্টরি সহ অন্যান্য অনলাইন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সমাজসেবা অধিদফতর ২০১৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পদক লাভ করে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস